হুমায়ুন আহমেদ এর উড়ালপঙ্খী একটি সমকালীন উপন্যাস যেখানে শহুরে জীবনের নিঃসঙ্গতা, বেকারত্বের চাপ এবং মানুষের অন্তর্দ্বন্দ্বকে রহস্যময় আবহে তুলে ধরা হয়েছে। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র মুহিব—একজন তরুণ, যিনি আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে অদ্ভুতভাবে চমকে ওঠেন এবং ধীরে ধীরে জীবনের নানা অস্বাভাবিক ঘটনার মুখোমুখি হন। তার পরিবার, বিশেষ করে বাবা শামসুদ্দিন সাহেব, এবং মিরপুরের ফ্ল্যাটে বসবাসরত মুহিবের চারপাশের মানুষজন গল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মুহিবের জীবনে বারবার এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা বাস্তব আর কল্পনার সীমারেখাকে অস্পষ্ট করে তোলে—কখনো সংবাদপত্রের খবর, কখনো রেস্টুরেন্ট মালিকের সাথে আলাপ, আবার কখনো নিজের ভেতরের ভয় ও অস্বস্তি তাকে তাড়া করে। হুমায়ুন আহমেদ তাঁর সহজ-সরল অথচ গভীর ভাষায় মানুষের মানসিক জটিলতা, একাকিত্ব এবং সমাজের চাপকে ফুটিয়ে তুলেছেন। উপন্যাসে পাঠক একদিকে মুহিবের অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সাথে রহস্যময় আবহে প্রবেশ করেন, অন্যদিকে সমকালীন সমাজের বাস্তব চিত্রও দেখতে পান। উড়ালপঙ্খী মূলত মানুষের ভেতরের অস্থিরতা ও জীবনের অদ্ভুত ঘটনাগুলোকে প্রতিফলিত করে, যেখানে বাস্তবতা ও কল্পনা মিলেমিশে এক অনন্য পাঠ-অভিজ্ঞতা তৈরি করে।













This Post Has 0 Comments